শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের জনতার হাট থেকে বাঘের বাড়ির রাস্তার বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাচা থাকার পরে ২০০৯ সালে এক কিলো ইটের সলিং হলেও দশ বছরে কোন কাজ করেনি জনপ্রতিনিধিগন।যার ফলে রাস্তাটির খান-খন্দে চরম ভোগান্তিসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এ অঞ্চলের এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা কায়ুুম হোসেন বলেন,দীর্ঘ দশ বছর আগে এ রস্তাটি এক কিলো সলিং হয় আর এরপর এই পর্যন্ত রাস্তাটির আর কোন সংস্কার বা কাজ করা হয়নি।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে,রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা খুবই বিপদ জনক। এখান থেকে অটোরিক্সা, আলফা,মটরসাইকেল,ভেনগাড়ি, চলাচল করে,যা প্রতিনিয়ত দর্ঘটনার শিকার হন। জরুরি কোন রুগি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়াটা ও অসম্ভব হয়ে দাড়িছে। আমরা শুনি বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নমূলক কাজ করছে।১০ বছর আগে এই রাস্তাটির কিছু কাজ হলেও আজ পর্যন্ত রাস্তাটির সংষ্কার বা মেরামত কাজ করছে না।আমরা একালাবাসী চাচ্ছি অতিদ্রুত রাস্তাটি করা হোক।স্থানীয় বাসিন্দা জনাব মোসলেম হোসেন জানায়,আমরা কি আর বলবো?
এ যাবত স্হানীয় প্রতিনিধিদের কাছে বারংবার বলা হইছে রাস্তাটির বিষয় কিন্তুু তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি।হাজার হাজার মানুষের চলাচলের পথ। শত শত স্কুল,কলেজ,মাদ্রসায় ছাত্র ছাত্রী এই পথ দিয়ে গাড়িতে যাওয়াটা ঝুকি হয় বিদায় তাদের হেটে যেতে হয় গন্তব্য ।এই অবস্থা স্থানীয় প্রতিনিধিদের চোখে পড়া সত্তেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তাই আমরা এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকার্ষন করছি।স্থানীয় আর এক বাসিন্দা মোঃ ফারুক হাওলাদার বলেন,এই রাস্তাটির বর্তমান বেহাল দশা এটা সবার কাছেই স্পষ্ট। রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।মানুষ চলাচল করাটাও ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে। গাড়িতে করে জরুরি কোন রুগি নিয়ে হাসপাতালে যাবে, এ ক্ষেত্রে কোন গাড়ি এই রাস্তায় যাতায়াত করতে চায় না।গাড়ির ড্রাইভাররা এই রাস্তার কথা শুনলে আর তারা যেতে চাই না।
অতএব আমরা জোর আবদার করছি এলাকাবাসীর দিকে তাকিয়ে অতিদ্রুত রাস্তাটির উন্নয়মূলক কাজ শুরু করার। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না জানায়, দক্ষিন চর আইচা টু আক্ককে আলী হাওলাদার বাড়ি রাস্তা নামে এ রাস্তাটি এলজিইডি বরাবর আবেদন করা হয়েছে । এখন কাজের অগ্রগতি এলজিইডি উপর নির্ভর করছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোঃ জামান উদ্দিন জানায়,রাস্তাটির আগের কাজ এলবিএসবি তে হওয়ায় নতুন করে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ফেলে ৫ মাস আগে ডিসি মহোদয়ের সভাপতিত্বে এলজিইডি হেডকোয়ার্টার থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এখনো অনুমোদন হয়নি রাস্তাটির। অনুমোদন হলে আমরা পর্যালোচনা করে রাস্তাটির উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করবো।